বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর রূপকার বা প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন ডা. আশফাক মাহমুদ খান। তিনি একাধারে একজন আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক, আত্মত্যাগী সমাজসেবক ও পরোপকারী ব্যাক্তিত্বের অধিকারী। তিনি মূলত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় জনসাধারনের সীমাহীন দূর্ভোগ, স্বাস্থ্যসেবায় সুবিধাবঞ্চিতদের প্রচলিত পদ্ধতির প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপট যেমন-ক্লিনিক বা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সাক্ষাত্ পেতে বিড়ম্বনা, লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করা, অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন টেস্ট, রোগ নির্ণয়ে ঝামেলা ও হয়রানি, মানসম্মত ঔষধ ক্রয়ে সিদ্ধান্তহীনতা এসব থেকে মুক্তি লাভের জন্য একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে জনসাধারন সম্মান ও মর্যাদার সাথে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন।

তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন প্রয়োজন যা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে। একটি যুগাস্তকারী পদক্ষেপ যা বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য দূর করবে এবং দেশের জনগণ চাহিদামত মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাভোগ করবে।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা সত্ত্বেও নিজের স্বপ্ন পূরণে অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস অন্তরে ধারণ করে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যান। তিনি একদল ত্যাগী ব্যাক্তিদ্বয়ের সমন্বয় সাধন করেন যারা সত্যিকার অর্থে আত্মত্যাগী নি:শর্তভাবে মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার সাথে একত্রিত হয়ে তাদের সময়, প্রচেষ্টা, বুদ্ধি, দক্ষতা, নেটওয়ার্ক এবং আর্থিক সহায়তায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান “বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামে আত্মপ্রকাশ ও সমৃদ্ধি লাভ করে। 

অদম্য ইচ্ছাশক্তির অধিকারী ব্যাক্তি যিনি সর্বসাধারনের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে তাত্ক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দ্বারা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সক্ষম হয় সেই লক্ষ্যে “বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একটি অভিন্ন প্রযুক্তিগত অনলাইন ভিত্তিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করার উম্মোচন করেছেন। যার মূলমন্ত্র হল “সকলের জন্য প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতা উদ্ভাবন”। 

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ- এর সেবা প্রদানের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা। 

এটি প্রথমে স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন। যার উদ্ভাবনী সাফল্য স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে মোবাইল ভিত্তিক এ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও কলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রাথমিকভাবে রংপুরে এবং নরসিংদীতে প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। 

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ মূলত বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, দরিদ্র তথা স্বাস্থ্য সুবিধাবঞ্চিতদের টার্গেট করে একটি পাইলট প্রকল্প পরীক্ষা হিসাবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া শুরু করে। আমাদের শীঘ্রই চালু হওয়া প্রথম এই প্রকল্পটি সফলভাবে সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম হিসেবে পরিচালনা করে। এই প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা পেতে আগ্রহী জনসাধারণ ধীরে ধীরে নিজেদেরকে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন, তাত্ক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন যা দ্বারা প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিকারমূলক স্বাস্থ্য যত্ন সম্পর্কে বোঝার বিকাশ ঘটে। 

আমাদের কাঙ্কিত লক্ষ্য হল জনসাধারনের মধ্যে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সনাক্তকরণ, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।

পর্যায়ক্রমে এই ধরনের সেবা কর্মসূচি বা উদ্যোগ আরোও বেশি লোককে আকৃষ্ট করে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানের পথকে সুগম এবং সহজ করে তোলবে। এই প্রতিষ্ঠানের সেবার গুণগতমান সকলের কাছে পাবে গ্রহণযোগ্যতা পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে আনবে ইতিবাচক পরিবর্তন।

বর্তমানে ফাউন্ডেশনের চলমান কার্যক্রম- স্বাস্থ্যশিক্ষা ও মানস্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, দরিদ্রের শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, আশ্রয়, পুষ্টি, আইনি সহায়তা, মানব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আমাদের সম্প্রসারিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও পেশাদার জনবল দ্বারা সকলের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও মানস্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আমরা নিবেদিত। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রচার ও সম্পাদন করা।

একটি নিরাপদ,সুন্দর ও সুস্থ জীবন গঠনে সকল নাগরিকের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানই আমাদের মূলমন্ত্র।