ক. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কি?

-এটি একটি প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্ম যেখানে চাহিদা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যার  নিজস্ব ওয়েবসাইট ভিত্তিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল বা মুঠোফোন ব্যবহার করে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রদান করে তাত্ক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং প্রতিকারমূলক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ বা পদক্ষেপ গ্রহন করে ব্যাক্তি জীবনকে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বাঁচাতে সহায়তা প্রদান করে। আমাদের সম্প্রসারিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও পেশাদার জনবল দ্বারা সকলের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও মানস্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আমরা নিবেদিত। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক  কার্যক্রমের প্রচার ও সম্পাদন করা।

খ. কিভাবে এবং কখন এটি শুরু হয়েছিল?

-সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সদস্যদের একটি দল বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার সাথে একত্রিত হয়ে তাদের সময়, প্রচেষ্টা, বুদ্ধি, দক্ষতা, নেটওয়ার্ক এবং আর্থিক সহায়তায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান “বেস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামে ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ আত্মপ্রকাশ ও সমৃদ্ধি লাভ করেছে। যার মূলমন্ত্র হল “সকলের জন্য প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতা উদ্ভাবন”

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্ভাবনকৃত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রংপুর এবং নরসিংদী অঞ্চলে সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পটি শুরু করেছিল।

গ. প্রতিষ্ঠান কি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত?

-হ্যাঁ, বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হল একটি অলাভজনক, সেবামূলক, অরাজনৈতিক এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এটি “বেস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির অধীনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে যার অফিসিয়াল রেজিস্ট্রেশন নম্বর হল (S-১৩৮৯২/২০২২), যা সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ এটির অধীনে নিবন্ধিত।

 ঘ. বাংলাদেশ সরকারের সাথে ফাউন্ডেশনের কোন যোগাযোগ বা পরিচিত আছে কি?

-হ্যাঁ, আমরা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক, বেসরকারী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা সরকারের সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রচারণায় কাজ করছি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ সবসময় আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে চলেছে।

ঙ. প্রতিষ্ঠাতা কে?

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রথম রুপকার বা স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন ডা. আশফাক মাহমুদ খান। তিনি একাধারে একজন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক, আত্মত্যাগী সমাজসেবক ও পরোপকারী ব্যাক্তিত্বের অধিকারী। 

চ. আমরা কিভাবে বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি?

– বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ- ব্যাক্তিগত, সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতের উদ্যোগের অবদানকে স্বাগত জানায়।

তাদের নিজস্ব সুবিধা অনুসারে আর্থিকভাবে এবং অন্যান্য শর্ত বা উপায়ে বেস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কে সামগ্রিকভাবে সমর্থন করতে বেছে নিতে পারে – উদাহরণস্বরূপ দক্ষতা ভাগাভাগি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচারণার জন্যে সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করে যেমন- সার্বজনীন স্বাস্থ্য দিবস, শিশু দিবস, বিশ্ব পরিবেশ দিবস, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ইত্যাদি।

ছ. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সেবার কর্মপরিকল্পনা কি?

 -বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ প্রদানকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি, কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নতির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, চিকিত্সা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান, নার্সিং প্রতিষ্ঠান, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, বৃত্তিমূলক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দাতব্য কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সাথে বিনা খরচে বা সাশ্রয়ী মূল্যে কাজ করা। ফাউন্ডেশন ক্যান্সার ব্যবস্থাপনা (স্ক্রিনিং, সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা সহ), মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (মাদক অপব্যবহার সহ) মত অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার কাজে নিয়োজিত। এই ধরনের রোগীদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ এবং পরিচালনা করা। 

জ. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মূল উদ্দেশ্য কি?

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ “সকলের জন্য প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতা উদ্ভাবন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত করে প্রযুক্তিগতভাবে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সকল নাগরিক তথা গ্রামীণ ও শহরে জনগণ, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের তাত্ক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে মানস্ম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রচার ও সম্পাদন করা।

ঝ. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন করতে কি কি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে?

– বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ -এর প্রাথমিক লক্ষ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে মানস্ম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা । পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্পেও কাজ করি যার লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন করা এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দরিদ্র সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে বেসরকারী খাতের ব্যবসায়িক জ্ঞানের সাথে উন্নয়ন সাধন করে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে পারদর্শী এমন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে মেলবন্ধনে আবদ্ধ। যারা আমাদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় টেকসই উন্নয়নের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  

আমরা সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য অংশীদারদের সহ দাতাদের সাথেও কাজ করি।এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সমর্থনকারী দল, পেশাদার এবং সমিতি,গবেষক, উদীয়মান বাজার সহ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, দেশ তথা সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে।



ঞ. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কি কোন আয় করে?

-এই মুহূর্তে, বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তার “পাইলট প্রকল্প” বাস্তবায়নের জন্য সদস্যদের ফি, সমর্থনকারী গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের দান বা অনুদান একীভূত করে নির্বাচিত এলাকা বা অঞ্চলে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ট. বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বর্তমানে কি ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে? 

এই মুহূর্তে, বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তার “পাইলট প্রকল্প” কাজের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ মডেল কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উদ্ভাবনকৃত নিজস্ব মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে বিনামূল্যে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে।

ঠ. আপনি কিভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করবেন?

-আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সমস্ত কার্যক্রম পেশাদার হিসাবরক্ষক দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে নিরীক্ষিত হয়। এই নিরীক্ষিত রিপোর্টগুলি বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ।

ড. আমি কিভাবে প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারি?

-বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় সুবিধাবঞ্চিত সকলের সহায়তা করার জন্য দান করতে বা বিকল্পভাবে নিয়মিত দান করতে অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

ঢ. আমি কিভাবে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারি?

-বিস্তারিত বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইট www.basehealthfoundation.org-এ পাওয়া যাবে। আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের info@basehealthfoundation.org এ মেইল ​​করুন।