বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ “সকলের জন্য প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতা উদ্ভাবন” এই প্রতিপাদ্যের স্বাস্থ্যসেবার একক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান-

তাত্ক্ষণিক/ নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা সেবাসমূহ-

  • ব্লাড প্রেসার মাপা

  • ওজন ও উচ্চতা মাপা

  • পাল্স রেট জানা

  • শ্বাস-প্রশ্বাস নির্ণয়

  • প্রসাব পরীক্ষা

  • রক্ত পরীক্ষা (ডায়াবেটিস বা শর্করা, হিমোগ্লোবিন এবং কোলেস্টরালের পরিমাণ নির্ণয়)

  • শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় 

  • অক্সিজেন পরিমাণ নির্ণয়  

সাপোর্ট সেবাসমূহ-

  • ২৪/৭ টেলিমেডিসিন সার্ভিস

  • বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সাথে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলা

  • বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সুপরামর্শ

  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি 

  • নিয়মিত সাক্ষাত্ পদ্ধতি

  • উন্নত চিকিত্সার ব্যবস্থাপত্র

  • ঔষধ সরবরাহ

  • মেডিকেল রিপোর্ট ডেলিভারি

  • রোগীর নিয়মিত মনিটরিং

  • স্বাস্থ্য সুবিধা কার্ড 

কর্মপরিকল্পনা (Programs)-

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ- দেশের সকল নাগরিকের জন্যে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠভাবে মোকাবেলার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কতকগুলো স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রসমূহ নজরে এনে গুরুত্বপূর্ণ নিম্নলিখিত কর্মপরিকল্পনা বা পদক্ষেপ বাস্তবায়নাধীন-

  • মডেল ক্লিনিক স্থাপন- মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিউনিটি মডেল ক্লিনিক নামে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যেখানে রোগীদের প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যাপ্ত সুবিধা থাকবে।

  • ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক- ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রধান মাধ্যম। প্রাথমিকভাবে সবার মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, উঠান বৈঠক আয়োজনে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে ধারণা বা সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের বসবাসকারী অধিক জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বা সম্প্রসারণের জন্য একটি অসাধারণ উদ্ভাবনী পদ্ধতি। এই ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করে। যেমন-ব্লাড প্রেসার মাপা, ওজন ও উচ্চতা মাপা, পাল্স রেট জানা, শ্বাস-প্রশ্বাস নির্ণয়, প্রসাব পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা (ডায়াবেটিস বা শর্করা, হিমোগ্লোবিন এবং কোলেস্টরালের পরিমাণ নির্ণয়),শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, অক্সিজেন পরিমাণ নির্ণয় ইত্যাদি। এর মূল লক্ষ্যই হল বিস্তৃত সবার জন্য মৌলিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সচেতন সৃষ্টি এবং রোগের প্রাথমিক সমাধান করা। 

  • ঔষুধ বা ফার্মেসি সেবা- এটি সুনির্দিষ্ট রোগের জন্য শুধুমাত্র উন্নত চিকিত্সার ব্যাবস্থাপত্র প্রদান করবে। যা নির্দিষ্ট রোগ সংক্রান্ত ঔষুধের বর্ণনা সহ মানসম্মত বিনামূল্যে বা ন্যায্যমূলে ঔষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করে।

  • রোগীর কাউন্সেলিং বা পরামর্শ- রোগীর কাউন্সেলিং বা পরামর্শ প্রদান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে রোগাক্রান্ত রোগীদের দ্রুত আরোগ্য লাভের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

  • হাসপাতাল সেবা কার্যক্রম – বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জটিল ও মারাত্মক রোগে আক্রান্ত রোগীর রোগ নির্ণয় এবং উন্নত চিকিত্সাসেবা প্রদানে হাসপাতাল সেবা কার্যক্রম প্রকল্পআধীন। যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা সেবা প্রয়োজন, অর্থ ব্যায় করতে অক্ষম এসব রোগীদের হাসপাতালে থেকে সুচিকিত্সা সেবা গ্রহনের সুযোগ দান।

  • সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা- বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ গ্রামীণ তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী স্বাস্থ্য সুবিধাবঞ্চিত সবার জন্য মোবাইল এ্যাপস ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে তাত্ক্ষণিক সরাসরি বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সুপরামর্শ এবং চিকিত্সা ব্যবস্থায় রোগমুক্তির সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদানের করে। 

বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হল একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যা ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য নিবেদিত যাতে প্রত্যেক ব্যক্তির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশের সুযোগ থাকে।