ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলো সাধারণভাবে সর্বজনীন সেবাপাওয়ার পথকে সুগম করে বৈষম্য দূরে ঠেলে মানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকে দরিদ্র, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক বা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে একটি অংশগ্রহণমূলক বহুমাত্রিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রযুক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য শিক্ষা সম্প্রসারণ, টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন এবং অধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি।
আমাদের উদ্দেশ্যসমূহ (Our Objectives)
সাধারণভাবে আমাদের ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানবতার সেবা করা এবং স্বাস্থ্যসুবিধা প্রদান করা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, মানব উন্নয়ন এবং সমাজ সেবা সম্পর্কিত বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ:
কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন ও কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডায়াগনস্টিক ইউনিট, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শক কেন্দ্র স্থাপন, একত্রে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সমাজসেবী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা বিনামূল্যে বা অন্যভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কাজে জড়িত। এছাড়া এ ফাউন্ডেশন জড়িত ক্যান্সার ব্যবস্থাপনা (স্ক্রিনিং, সনাক্তকরণ ও চিকিত্সা), মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা (মাদকের অপব্যবহার) এবং এইডস রোগী নিরাময়। এ সকল রোগীদের জন্য পুনর্বাসন পদক্ষেপ গ্রহন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করা।
স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং প্রতিষ্ঠান, কারিগরি প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা এবং তদারকির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিতরণ করা। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজের মান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কর্মসূচি এবং কেন্দ্র স্থাপন করা।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ঔষধ, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও পানি সরবরাহ বা যোগানের ব্যবস্থা করা। গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য কর্মসূচী স্থাপন করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান কর্মসূচি ইত্যাদি।
পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং একই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং পরিবেশগত দূষণ কমানো
সমাজে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমর্থন করা এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগী হওয়া।
দেশে ও বিদেশে স্বেচ্ছাসেবক দল পাঠানো যেন তারা ভূমিকম্প, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, চিকিৎসা কাজে সহায়তা দিতে পারে।
যে কোন ধরনের মানবিক বা দাতব্য কর্মসূচি গ্রহণ করে তা চালিয়ে যাওয়া যা দ্বারা স্থানীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী এবং বন্য প্রাণীর সঙ্কুলতা থেকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করা।
বয়স্ক ও শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং অ- প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রসারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
বয়স্ক পুরুষ, মহিলা এবং তৃতীয় লিঙ্গ ব্যাক্তিদের জন্য বয়স্ক নিবাস স্থাপন করা।
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে সকল সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকার রক্ষার্থে যুগপোযোগী প্রকল্প বা পদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়ন বিশেষ করে স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করা।
সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেকের পড়ালেখার জন্য লাইব্রেরি, পাঠাগার, স্টাডি সেন্টার স্থাপন করা।
শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সাময়িকী, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করা যা দেশের জন্য প্রয়োজন।
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করার জন্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তথা কার্যক্রম বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সভা- সেমিনার, বক্তৃতা, তথ্য উপদেশের ব্যবস্থা করা।
ফাউন্ডেশন বিশেষভাবে সুবিধাবঞ্চিত, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির উপর কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ফাউন্ডেশন মৌলিক মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ফাউন্ডেশন পরিবেশ সচেতনতা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বৃদ্ধি করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ফাউন্ডেশন বিশেষভাবে স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্যই হল কর্ম পরিধির আওতাভূক্ত কার্যক্রমে সকল নাগরিকদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করে, গবেষণা ও প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে যথাযথ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহনে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা। অর্থাত্ স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো এবং মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করা।
সর্বোপুরি বেইস কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ- একটি প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যা দ্বারা সকল নাগরিকদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে সক্ষম এবং রোগের অগ্রগতি থেকে রোধ করার জন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে সকলের সচেতনতা বাড়াবে।